বহুব্রীহি-হুমায়ূন আহমেদ

‘রাজাকার’- শব্দটি উচ্চারণ করা যখন সমস্যা ছিল, তখন টিয়া পাখির মুখে “তুই রাজাকার”- সংলাপ দিয়ে সাহসিকতা আর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ স্যার। মূলত প্রথমে নাটক এবং পরে উপন্যাস আকারে এটি প্রকাশিত হয়। যদিও নাটক এবং উপন্যাস পুরোপুরি একরকম নয়।
নাটকটি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। যেখানে আছেন সোবহান সাহেব, যিনি অবসরের পর নানারকম সামাজিক সমস্যা নিয়ে ভাবেন, গবেষণাধর্মী লেখালেখি করার চেষ্টা করেন। তার এই কাজ যতই উপকারী মনে হোক, এর কঠিন বাস্তবতার সাথে পরিচয় করান তাদের বিপত্নীক, দুই সন্তানের বাবা ভাড়াটিয়া আনিস। আছেন ফরিদ মামা, যিনি একজন সিনেমা পাগল, নির্ভেজাল, নিঃস্বার্থ ব্যক্তি। যার সর্বশেষ প্রজেক্টই ‘প্রজেক্ট রাজাকার।’
রহিমার মা, কাদের আর এমদাদ খোন্দকারদের মতো স্বার্থান্বেষী আর সুবিধাবাদী মানুষেরাও আছে এই গল্পে। চরিত্রগুলো অপরিচিত নয়, আমাদের আশেপাশের মানুষই। গল্পটাও সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের।

পার্থক্য শুধু ‘তুই রাজাকার’-এর মতো সংলাপ আর আনিসের বাস্তবধর্মী দর্শনে।

“যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে তার কথা আমাদের মনে থাকে না। মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালবাসার কথা।”

পড়ে থাকলে জানাবেন কেমন লেগেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top