অচিনপুর-হুমায়ূন আহমেদ

‘অচিনপুর’ খুব সাধারণ কিছু মানুষের গল্প। স্বল্প পরিসরে কথক রঞ্জু আর তার নানার বাড়ির গল্প।
রঞ্জুর বোনের মনে হতো তারা পরগাছা। খুব মায়া-মমতায় বড়ো না হলেও, অত্যাচারের কোন কথা পাওয়া যায় না। নবু মামা খেয়ালি মানুষ। তিনি বলতেন জোছনা নাকি হা করে খেতে হয়। বাদশা মামা শিল্পী মানুষ, লাল মামিকে আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি।
বাড়িটা কেমন যেনো ভুতুড়ে, গা ছমছম করে। আয়োজন করে দুঃখের কথা না লিখলেও বইটি জুড়ে আছে বিষণ্নতা। পড়লে মন খারাপ হয়।

পুরো জীবন জুড়ে যারা একসময় থাকে, সময় আর জীবনের প্রয়োজনে তাদের ছেড়ে চলেও যেতে হয়। সময়ই বলে দেয়, কখন যাওয়ার সময় হয়েছে।

আমার মনে হয়েছে, স্যার তার নিজের নানার বাড়ির অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগিয়েছেন। বিশেষ করে জোছনা খাওয়ার বিষয়টি। তার নিজের নানার বাড়িতে আলাউদ্দিন নামে একজন ছিল, যিনি এই ‘চান্নিপসর’ স্যারের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন।

পড়লে অবশ্যই জানাবেন কেমন লেগেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top