মিসির আলি সিরিজের প্রথম উপন্যাস “দেবী।” দেবী রানুর গল্প, রানুর প্রতি আনিসের ভালবাসার গল্প, আর নীলুর গল্প। তার সাথে এক নতুন মধ্যবয়সী ব্যক্তির, আমাদের খুব কাছের একজন রহস্য অনুসন্ধানকারী হয়ে ওঠার গল্প।
রানুর ছোটবেলায় একটা ঘটনা ঘটেছিল, অদ্ভুত আর ভয়ের। তারপর থেকেই রানু অন্যরকম হয়ে যায়। কে যেনো ওকে ডাকে, একা থাকতে দেয় না। আনিস কিন্তু বিরক্ত হয় না, যতটুকু রানুর ভয় তার চেয়ে বেশি মমতা দিয়ে সে রানুকে আগলে রাখে। রানুকে সুস্থ করতে তাই আনিস শরণাপন্ন হয় মিসির আলির কাছে।
মিসির আলি যুক্তিতে বিশ্বাসী মানুষ। রহস্য তাকে টানে ঠিকই, কিন্তু কার্যকারণ না জানা পর্যন্ত তিনি হাল ছাড়েন না। যুক্তির সিঁড়ি বেয়ে রানুর মনের ঘরে হয়তো পৌঁছে যেতেন, কিন্তু নতুন আরেক বাঁধার মুখে পড়েন।
রানুর বাড়িওয়ালার বড়ো মেয়ে, নীলু। বড্ড একা, চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে। খুব অদ্ভুত ভাবেই পত্রিকার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিচয় হয় এক ব্যক্তির সাথে। রানুর সাথেও গল্প হয় নীলুর।
তারপর?
রানুর সমস্যার সমাধান কী করতে পারবেন মিসির আলি নাকি নতুন কোনো বিপদের আশংকা?
জানতে হলে বইটা পড়তে হবে। এক বসায় শেষ না করে উঠতে পারবেন না। সহজ ভাষা, কিন্তু গা ছমছমে ভাব। মজার ব্যাপার হলো, শহীদুল্লাহ হলের টিউটর থাকাকালে সত্যিই স্যারের রানুর মতো একজনের সাথে পরিচয় হয়েছিল। অবশ্য, তার সমস্যার সমাধান স্যার করতে পারেননি।
দেবী উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মিত হয়েছে। ছবি আর উপন্যাস ভিন্ন, এবং তাই হওয়া স্বাভাবিক। আমার ছবি ভালো লেগেছে। আর বই তো অনেকবার পড়েছি, হয়তো আরও পড়বো।
ছোট্ট একটা কথা, দেবী আসলে কী? রহস্য? আধ্যাত্মিক শক্তি নাকি ভেতরের লুকানো শক্তি যা সময় হলে প্রকাশ করতে হয়?
উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
.