হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অন্যান্য আত্মজীবনীমূলক বইয়ের থেকে “অনন্ত অম্বরে” আলাদা মূলত এর সময়ের কারণে। এখানে আপনি পাবেন হুমায়ূন আহমেদের লেখক হয়ে উঠার সময় আর গল্প।
একজন লেখক তার ব্যক্তিজীবন থেকে লেখার উপাদান খুঁজে নেওয়ার কথা যতোই অস্বীকার করুক, স্যারের ক্ষেত্রে এই কথা একদম সত্য। তা হোক ছোটবেলায় দেখা খালি পায়ে হাঁটা সন্ন্যাসীর প্রভাব, তার নিজের মাকড়সা ভীতি, কুকুর নিয়ে ছোটবেলা আর বাকি জীবনের বিভিন্ন ঘটনা অথবা শহীদুল্লাহ হলের বিড়াল পরিবার থেকে পরবর্তীতে “বিপদ” উপন্যাস লেখার গল্প।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় লেগেছে “দেবী” উপন্যাসের রানু চরিত্রের কথা শুনে। পরিচিত একজনের মাধ্যমে তার দেখা হয়েছিল একজন মেয়ের সাথে, যার ছোটবেলার ঘটনা রানুর সেই পুকুরের ঘটনার সাথে মিলে যায়। পরবর্তীতে, এই ঘটনা থেকেই তিনি উপন্যাসটি লিখেন।
মানবজীবন, পৃথিবীর রহস্য আর বাংলাদেশের প্রকৃতি সারাজীবন তাকে মুগ্ধ করেছে। আমার খুব অবাক লাগে, একটা মানুষের জীবনে কী এতোই বিচিত্র ঘটনা ঘটে যে প্রতিটা একেকটা গল্পে পরিণত হয়। অথবা, হতে পারে স্যারের গল্প বলার কৌশল। যা সব সাধারণ ঘটনাকেই আকর্ষণীয় করে তোলে।